Sunday, March 18, 2012

ভারতের সামনে আজ অগ্নি পরিক্ষা চলছে.........।।

এশিয়া কাপের পঞ্চম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৩৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভারে ১ উইকেটে ৯৮ রান করেছে ভারত।

এক প্রান্তে শচীন টেন্ডুলকার ৪৭ ও বিরাট কোহলি ৪৫ রানে ব্যাট করছেন।


সাজঘরে ফিরে গেছেন গৌতম গম্ভীর (০)।


মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হাফিজ ও নাসির জামশেদের শতকের সুবাদে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করে পাকিস্তান।


হাফিজ ও জামশেদের ২২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। এশিয়া কাপে এটি উদ্বোধনী জুটি তো বটেই যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রান।


তৃতীয় উইকেটে ২০০৪ সালে কলম্বোয় হংকংয়ের বিপক্ষে স্বদেশী শোয়েব মালিক ও ইউনুস খানের ২২৩ রান এতোদিন ছিল যে কোনো জুটিতে সর্বোচ্চ। আর ২০০৮ সালে করাচিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও কুমার সাঙ্গাকারার ২০১ রান ছিল উদ্বোধনী জুটির সর্বোচ্চ।


হাফিজ ও জামশেদকে থামাতে ২৪ ওভারের মধ্যে ৮ বোলার ব্যবহার করেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। অষ্টম বোলার হিসেবে বল করতে আসা শচীন টেন্ডুলকার নিজের দ্বিতীয় ওভারে (২৬ তম ওভার) প্রথম সুযোগ তৈরি করেন। সে সময় ৬৯ রানে ব্যাট করা জামশেদ তাকে ফিরতি ক্যাচ দেন। ঐ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি টেন্ডুলকার, উল্টো আঙ্গুলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।


প্রথম ওয়ানডে শতকে পৌঁছার পর সাজঘরের পথ ধরেন জামশেদ (১১২)। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ইরফান পাঠানের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। জামশেদের ১০৪ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও একটি ছক্কা।


নিজের চতুর্থ ওয়ানডে শতক পাওয়া হাফিজ (১০৫) এক রান পরেই জামশেদকে অনুসরণ করেন। হাফিজের ১১৩ বলের ইনিংসটি ৯টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো।


তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের ছোট কিন্তু কার্যকর জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন উমর আকমল ও ইউনুস খান। প্রাভিন কুমারের বলে শর্টফাইন লেগে গৌতম গম্ভীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে আকমল করেন ২৮ রান।


এক সময়ে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ২৭৩/৩। সেখান থেকে সাড়ে তিনশ রানের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। তবে ইউনুস (৫২) ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের কোঠায় পৌঁছাতে না পারায় ততদূর যেতে পারেনি পাকিস্তান। ইউনুসের ৩৪ বলের ইনিংসে ৬টি চার।


ভারতের পক্ষে অশোক দিন্দা ও প্রাভিন কুমার দুটি করে উইকেট নেন।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩২৯/৬ (হাফিজ ১০৫, জামশেদ ১১২, আকমল ২৮, ইউনুস ৫২, আফ্রিদি ৯, আজম ৪, মিসবাহ ৪*, গুল ০*; দিন্দা ২/৪৭, প্রাভিন ২/৭৭, অশ্বিন ১/৫৬, ইরফান ১/৬৯)



ফাইনালের সমীকরণ
:

এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের চার দল দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে দুটোতেই জিতেছে পাকিস্তান। বোনাস পয়েন্টসহ তাদের সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। একটি করে জয় পাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট ৪ পয়েন্ট। আর দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়া শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট শূন্য।


শুক্রবার ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। চার দলের প্রত্যেকের সামনেই এখন পর্যন্ত ফাইনালে খেলার সুযোগ রয়েছে। বোনাস পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে একধাপ এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশ ও ভারত নিজের ম্যাচে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জিতলে এমনকি পাকিস্তানও বাদ পড়ে যেতে পারে।


রোববার ভারত জিতলে ফাইনালের আশা শেষ হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কার। তখন মঙ্গলবার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে বাংলাদেশকে।

No comments:

Post a Comment